ছবি : প্রতিনিধি
বরগুনা: বরগুনার আমতলীতে দুই দফায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক হিন্দু গৃহবধূ (৩৮)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সোনাউঠা গ্রামে। পুলিশ এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- সোনাউঠা গ্রামের নজরুল হাওলাদারের ছেলে সাইফুল হাওলাদার ও একই গ্রামের শহীদ হাওলাদারের দুই ছেলে ইমরান ও ইমরাজ হাওলাদার। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী একজন কৃষক।
জানা গেছে, সোনাউঠা গ্রামের কৃষক ও তার ছেলে বাজারে থাকায় গত ২৩ অক্টোবর রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঘরে প্রবেশ করে অভিযুক্ত প্রথমে ইমরান পরে সাইফুল ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি গোপন রাখেন।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর ৩০ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্তরা ঐ নারীর বাড়িতে প্রবেশ করে পানি পানের অজুহাতে সাইফুল আর ইমরান ঘরে প্রবেশ করে আবার তাকে ধর্ষণ করে। ঘরের বাহিরে বসে এই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ইমরাজ।
পরে দুপুর ১টার দিকে তার স্বামী আসলে তার কাছে ঐ নারী তার ওপরে নির্যাতনের ঘটনা খুলে বলে। পরে তিনি থানায় গিয়ে এই ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মুঠোফোনে জানান, আসামিরা ও তাদের পরিবার এলাকায় খুব প্রভাবশালী। আমার স্ত্রীকে তারা ধর্ষণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। দেশ ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। তবে তিনি বলেন, বর্তমানে তারা বাড়িতে থাকেলও আতঙ্কে আছেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং পর্নগ্রাফী আইনে গত ১ নভেম্বর আমতলী থানায় মামলা হয়। ঐ দিনই মামলার অভিযুক্ত ২নং আসাসি ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযুক্ত ৩ নং আসামি ইমরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার মদনঘাট এলাকায় তার মেজো ভাই বায়েজিদের বাসায় আত্মগোপনে ছিল। তাকে আজ বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সােইফুল ইসলাম আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামিকেও গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনার ভিকটিমকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আসামিপক্ষের স্বজনেরা ওই পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে তাঁর জানা নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএস
আপনার মতামত লিখুন :